এবিএনএ: ৭০ বছর ধরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসন করা প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাতে প্রস্তুত বিশ্ব। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে শুরু হবে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। সন্ধ্যার মধ্যে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রানি। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সামনে রেখে এদিন দিনব্যাপী চলবে নানা আনুষ্ঠানিকতা। আজ সোমবার রানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ অনেকে দেশের অতিথি। রানির শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, ফলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখার সুযোগ থাকছে।
এরপর সারা পৃথিবীর কাছে যিনি রানি, যিনি পরিবারের কাছে লিলিবেট, সেই লিলিবেট ফিরে যাবেন সেখানে, যেখানে শায়িত আছেন বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ, মা কুইন মাদার, বোন মার্গারেট, আর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫শ অতিথি ও রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ব্রিটেনে ১০ দিনের দীর্ঘ জাতীয় শোক। রানির জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজা চার্লস তৃতীয় বলেন, তার মায়ের মৃত্যুর পর জনগণের সহানুভূতি প্রকাশের পরিমাপ সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
রানির শেষকৃত্যে লন্ডনে বিশ্বনেতাদের যে সমাবেশ ঘটছে, তা গত কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যের কোথাও দেখা যায়নি। এই সমাবেশ ঘিরে ব্রিটেনের ইতিহাসের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে নিরাপত্তার বলয় মাটির নিচে ম্যানহোল থেকে আকাশে বিস্তৃত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই লন্ডন পৌঁছেছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ্পে ও রানি ম্যাথিলডে, নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলিয়াম আলেক্সান্ডার ও রানি ম্যাক্সিমা, স্পেনের রাজা ফেলিপে ও রানি লেতিজিয়া।
এ ছাড়া নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক এবং মোনাকোর রাজপরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেনও উপস্থিত হয়েছেন। অন্যদের মধ্যে জাপানের সম্রাট নারুহিতো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেনমায়ার এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন উপস্থিত থাকবেন।
তবে আমন্ত্রণ পেলেও শেষকৃত্যে থাকছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আমন্ত্রণ পাননি। এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। এ ছাড়া আফগানিস্তান, বেলারুশ, মিয়ানমার, সিরিয়া ও ভেনিজুয়েলার কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।